জবা ফুলের চা কী ভাবে বাড়িতে বানাবেন? খেলে কি কি উপকার ।
বাড়ির বাগানে হওয়া লাল রঙের জবা ফুল দিয়েও চা বানানো যেতে পারে। আর সেই চা সাধারণ চায়ের থেকে গুণে কোনও অংশে কম নয়। বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ সাধারণ চায়ের থেকেও বেশি। দেখতেও সাধারণ চায়ের থেকে ভাল। রং টুকটুকে লাল, তাতে সামান্য বেগনি আভা। Hibiscus Tea
এমনিতে জবা ফুলের চায়ের টি ব্যাগ দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। তবে চাইলে আপনি নিজেও বাড়িতে ওই চা বানিয়ে নিতে পারেন।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ: ৩-৪টি লাল জবা ফুলের পাপড়ি, দেড় কাপ জল, স্বাদমতো মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস
প্রণালী: জবা ফুলের পাপড়ি জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। একটি পাত্রে দেড় কাপ জল নিয়ে ফুটিয়ে নিন। জল ফুটে উঠলে এর মধ্যে জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে দিন।
প্রায় ৫ মিনিট মতো হালকা আঁচে রাখুন বা গরম জল ফেলে ঢেকে রাখুন। ফুলের পাপড়ি রঙ ছাড়বে। জলটি গাঢ় লাল বা ম্যাজেন্টা রঙের হয়ে উঠলে একটি কাপে ছেঁকে নিন।
এই চায়ের স্বাদ টক হবে। তবে চাইলে এতে মধু এবং গন্ধের জন্য লেবুর রস মেশাতে পারেন।
জবা ফুলের চায়ের উপকারিতা
হিবিস্কাস টি বা জবা ফুলের চা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য উপকারী উপাদানে ভরপুর। শীতে গরম গরম এই চা পান করলে শরীরে নানারকম উপকার হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: জবা ফুলে ভিটামিন সি এবং শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অ্যান্থোসায়ানিন থাকে প্রচুর পরিমাণে। শীতে যা রোগ সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকে শরীরকে রক্ষা করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
হজমের উন্নতি: এই চা হজমক্রিয়াকে ভাল রাখে। শীতে পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: শীতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেকের মধ্যে দেখা যায়।নিয়মিত এই চা পান করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
প্রদাহ কমায়: জবা ফুলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা শীতে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বা অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর: শীতে স্বাভাবিক কারণেই কাজে আলস্য আসে, কাজের উদ্যম কম থাকে। এই উষ্ণ লাল রঙের চা পান করলে ক্লান্তি দূর হয় এবং এটি মেজাজ ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
কারা খাবেন না?
যদি নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকে বা অন্তঃসত্ত্বা কিংবা যে নারী স্তন্যদান করছেন, তাঁরা এই চা খাবেন না। সুস্থ শরীরেও দিনে দু'বারের বেশি এই চা পান না করাই ভাল ।

Post a Comment